সরকারের প্রচেষ্টা ও সীমাবদ্ধতা
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোকে ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে ঢাকায় স্থানান্তরের অনুরোধ জানালেও তেমন সাড়া মেলেনি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি ঢাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ইইউভুক্ত রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকে এই অনুরোধ জানান।
তিনি উল্লেখ করেন, ভারতে ভিসার সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইউরোপে ভিসার আবেদন করতে পারছেন না, যা তাদের শিক্ষাজীবনে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিকল্প হিসেবে তৃতীয় কোনো দেশে ভিসা প্রাপ্তির ব্যবস্থার চেষ্টা চলছে। কিছু অগ্রগতিও হয়েছে:
- রোমানিয়া: থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামে অবস্থিত দূতাবাস থেকে ভিসার আবেদন করা যাবে।
- বুলগেরিয়া: ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, এবং কাজাখস্তানের দূতাবাস থেকে ভিসা প্রদান করা হবে।
- কাজাখস্তান: ব্যাংকক থেকে ভিসা প্রদান করবে।
তবে এই তিন দেশের বাইরে আর কোনো দেশ থেকে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।
ইউরোপীয় দেশগুলোর মতে, ভিসা অফিস খোলা তাদের জন্য ব্যয়সাপেক্ষ এবং সময়সাপেক্ষ। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক পর্যাপ্ত না হওয়ায় তারা এই উদ্যোগ নিতে আগ্রহী নয়।
পশ্চিম ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের ভিসা ঢাকাতেই প্রদান করা হলেও পূর্ব ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের ভিসা দিল্লি থেকে নিতে হয়। ভারতীয় ভিসা সীমিত হওয়ায় এবং পর্যাপ্ত বিকল্প না থাকায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এটি একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সংকট নিরসনে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সমাধান আসতে সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।